Basic Concepts of Router VS Switch
যারা নেটওয়ার্কিং এর উপর সবেমাত্র পড়াশুনা শুরু করেছেন বা নেটওয়ার্কিং এর কাজ শিখতে আগ্রহী তারা বেশীর ভাগ সময় একটা প্রশ্ন করেন তা হল হাব আর সুইচের মধ্যে পার্থক্য কি? আমি থিউরির কচকচানি না করে উদাহারনের মাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে বলছি। ধরুন একটা চৌরাস্তার মাথায় ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম থাকলে কি হয় আর না থাকলে কি হয়। ট্রাফিক কন্ট্রোল থাকলে গাড়িগুলো সুষ্টভাবে চলাচল করে আর না থাকলে সবদিকের গাড়ি এসে একটা বিশৃংক্ষল অবস্থার সৃস্টি হয় যার ফলে গাড়িগুলোর গতি কমে যায়। এক্ষত্রে হাব হচ্ছে ট্রাফিক কন্ট্রোল ছাড়া রাস্তা আর সুইচ হচ্ছে ট্রাফিক কন্ট্রোল সহ রাস্তা। একটা হাবের সাথে কানেক্টেড একটা পিসি A যখন আরেকটা পিসি B এর খোঁজ করে তখন সেটা হাবের প্রত্যেকটা পোর্টে গিয়ে জিজ্ঞেস করে তুমি কি B? এভাবে প্রকৃত B কে যখন পায় তখন তার সাথে যোগাযোগ করে। এবার ভাবুনতো A B কে খুঁজছে D H কে খুঁজছে F C কে খুঁজছে তখন কি অবস্থা হবে। আর সুইচের ক্ষেত্রে যখন কোন পিসি সুইচের সাথে কানেক্ট হয় তখন সুইচ পিসিটা কোন পোর্টের সাথে কানেক্ট আছে সেটা তার মেমোরীতে রেখে দেয়। ফলে পরবর্তীতে যখন একটা পিসি আরেকটা পিসিকে খোঁজে তখন সুইচ তাদের দুইজনের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়।
Hub is just connectivity device.যখন কোন ডাটা প্যাকেট সে পায় তখন সে ঐ নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত সকল হোস্ট পিসিতে ডাটা প্যাকেট পাঠিয়ে দেয় ।আমরা জানি ডাটা প্যাকেটে কি কি ইনফরমেশন থাকে(যেমন গ্রাহক কম্পিউটারের আই পি অ্যাড্রেস.ম্যাক অ্যাড্রেস),এখন যে কম্পিউটারের সাথে উক্ত ইনফরমেশন মিলে যাবে সেই শুধু ডাটা প্যাকেট গ্রহন করবে আর বাকিরা ডাটা প্যাকেট রিজেক্ট করবে।
আর switch is intelligence devic. সে উক্ত ডাটা প্যাকেটকে সুনিদিষ্ট পোর্টে পাঠিয়ে দেয়। কারন তার মেমোরিতে ঐ নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত সকল হোস্ট পিসির ইনফরমেশন থাকে ।
প্রশ্ন: হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য
হাব
১. ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে।
২. ডেটা সিগন্যাল প্রাপক কম্পিউটারের সব পোর্ট পাঠায় অর্থাত্ নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারের কাছে পাঠায়।
৩. পোর্ট কম। অনেক বড় নেটওয়ার্ক তৈরিতে ব্যবহার করা যায় না। ৪. সময় বেশি লাগে।
৫. নিরাপত্তা কম।
৬. মূল্য কম।
সুইচ
১. ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা থাকে না।
২. প্রেরক কম্পিউটার থেকে সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় প্রাপক কম্পিউটারের কাছে ডেটা পাঠায়।
৩. পোর্ট বেশি। তাই অনেক বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
৪. সময় কম লাগে।
৫. নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।
৬. মূল্য বেশি।
১. ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা থাকে না।
২. প্রেরক কম্পিউটার থেকে সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় প্রাপক কম্পিউটারের কাছে ডেটা পাঠায়।
৩. পোর্ট বেশি। তাই অনেক বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
৪. সময় কম লাগে।
৫. নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।
৬. মূল্য বেশি।